
নেপালে ‘জেন-জি’ তরুণ আন্দোলনকারীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি-র নাম প্রস্তাব করা হবে। বুধবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অনলাইনে বিভিন্ন জেলা থেকে যুক্ত আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা প্রায় ছয় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় অংশ নেন। তাদের দাবি ছিল — প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আন্দোলন দমনকারী এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার, একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং সামাজিক ও রাজনীতিতে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ধারনা অনুযায়ী, জেনজির তরফ থেকে কারকির কাছে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানানো হলে তিনি মূলত অনিচ্ছার কোনো নির্দেশ দেননি, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়নি যে তিনি দায়িত্ব নেবেন কি না।
গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে দেখা যায়, এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল যখন সরকার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার পর থেকেই বিক্ষোভ দ্রুত গতি নেয়, যদিও পুলিশের গুলিতে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য ক্ষমতাসীনরা পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
সুশীলা কারকি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং দুর্নীতিবিরোধী নীতি ও জবাবদিহিকে কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে আগে থেকেই বহুল আলোচিত ছিলেন। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে নেপালের রাজনীতি ও প্রশাসনের দৃশ্যে বড় ধরণের পরিবর্তন হতে পারে। তবে সাংবিধানিক বাধা, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা—সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে বিষয়টি কতটা সফল হবে সেটাই দেখার।