
রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল ও নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) এবং দলের অঙ্গসংগঠনের আরও সাত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডিএমপি।
রাজধানীতে হঠাৎ মিছিল ও নাশকতার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন (৫০) ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও সাত নেতা–কর্মী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তানজিল হোসেন ওরফে অভি (২৯), একই উপজেলার যুবলীগ নেতা মো. আনিসুর রহমান হাওলাদার (৪৩), বঙ্গবন্ধু কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম (৬৫), বংশাল থানা আওয়ামী লীগের নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে বাবলু (৬১), উত্তরা পূর্ব থানা যুবলীগের নেতা আল মামুন ভূঁইয়া (২৯), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মো. কায়কোবাদ ওসমানী (৫৩), এবং মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন (৬০)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) জানিয়েছে, সাবেক এমপি সাদ্দাম হোসেন শুধু মিছিল সংগঠনে নয়, বরং নাশকতার পরিকল্পনা ও তহবিল জোগানেও যুক্ত ছিলেন।
ডিএমপির শুক্রবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে ডিবি–সাইবার ইউনিট সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। তার আগে সন্ধ্যায় সবুজবাগের মানিকদিয়া এলাকা থেকে তানজিল হোসেন ও আনিসুর রহমানকে ধরে ডিবির মতিঝিল বিভাগ। পরে রাতে পান্থপথে এ কে এম খোরশেদ আলম, নয়াবাজারে দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাব এলাকায় আল মামুন ভূঁইয়া, মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় কায়কোবাদ ও কাকরাইলে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগে মামলা রয়েছে। তারা দলবদ্ধভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক মিছিল ও নাশকতামূলক তৎপরতার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানো এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থির করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।